This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Thursday, April 25, 2019

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা


দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ
্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামীকাল আরও বেশি হবে, যাতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারের দিকে কিছুটা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।
তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এখন উত্তরাঞ্চলে যে ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে, তা রাজধানী ঢাকাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময় বৃষ্টি কম হয়, তাপমাত্রা বেশি থাকে। এ সময় তাপমাত্রার সাথে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। সে কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা ও সৈয়দপুর অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Thursday, April 4, 2019

অধিক সংখ্যক স্থানে বৃষ্টিপাত থাকবে


আজ দেশের মধ্যে গতকালের তুলনায় অধিক
সংখ্যক স্থানে বৃষ্টিপাত থাকবে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশী
থাকবে পরবর্তী সকাল পর্যন্ত।
মূল কেন্দ্র সিলেট বিভাগ, এছাড়া রাজশাহী, ঢাকা,
ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগের কিছু জেলার মধ্যে
বৃষ্টির প্রবণতা বেশী থাকছে।
বজ্র, শীলা ও বৃষ্টির পরিমান স্থানভেদে
আলাদা হবে।
খুলনা, বরিশাল, চট্রগ্রাম এই তিন বিভাগের দক্ষিণ
অংশে আজকেও সকল প্রভাব কম থাকতে পারে।
দেশের মধ্যে হাল্কা মেঘের কারণে বেশীরভাগ স্থানে
সূর্যের আলো পাওয়া যাবে না।
সাধারণ বা মাঝারি ঝড় হতে পারে কিছু স্থানে তবে
এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টিপাত চালু রয়েছে, দুপুরের পর
থেকে বিকালে বা রাতে এই প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি
পাবে।

Tuesday, March 26, 2019

মাঝারি বৃষ্টির প্রাধান্য থাকবে, ভারী বৃষ্টি থাকবে কম সংখ্যক স্থানে


আজ থেকে দেশের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বৃদ্ধি পাবে।
রংপুর বিভাগে এত দিনের মধ্যে তেমন কোন বৃষ্টিপাত
দেখা যায়নি তবে আজ থেকে এই সম্ভাবনা
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রংপুর বিভাগ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত পরবর্তী ২৪
ঘন্টার মধ্যে প্রত্যেক বিভাগে কম-বেশী থাকতে
পারে।
অল্পসময় নিয়ে দমকা-ঝড়ো হাওয়া, শীলা,
অল্প সংখ্যক স্থানে বজ্র এবং হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টির
প্রাধান্য থাকবে, ভারী বৃষ্টি থাকবে কম সংখ্যক স্থানে।
এই পর্যায়ে দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে
গড়ে বেশী বৃষ্টি হতে পারে।
অর্থাৎ খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং চট্রগ্রাম বিভাগের
দক্ষিণ অংশের তুলনায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ,
সিলেট ও রংপুর বিভাগের মধ্যে পরিমানে
বেশী বৃষ্টি হতে পারে।
এবারও আকাশে মেঘের উপস্থিতি থাকা সত্তেও অনেক
স্থানেই বৃষ্টিপাত থাকবে না।
এখন পর্যন্ত দেশের বেশীরভাগ এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে
সময়ের সাথে সাথে মেঘের ঘনত্ব বা উপস্থিতি বাড়বে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত পূর্বাভাস সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৮:৪০ মিনিটের চিত্রে
সাদা স্থানসমূহে মেঘর স্তর দেখা যাচ্ছে।
মেঘের গতিপথ অনেকটা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে
দক্ষিণ-পূর্ব মূখী।

Monday, March 25, 2019

কান্তজির মন্দির


কান্তজীউ মন্দির বা কান্তজির মন্দির বা কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশের দিনাজপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির । এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত ।
তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তাঁর শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন ।
মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।
উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার ।
দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুল
িয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির।

অপারেশন সার্চলাইট’ ও একটি “পরিকল্পিত” গণহত্যা


বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এমন ভয়ানক রাত আগে কখনো আসেনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত। শুরু হলো বাঙালি জাতিসত্তাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এক পরিকল্পিত সামরিক অভিযান, যার নাম অপারেশন সার্চলাইট। অপারেশন সার্চলাইটকে নিছক বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমনের একটি সামরিক চেষ্টা এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল এক ভয়াল গণহত্যার নীলনকশা, গোপনে গোপনে যার প্রস্তুতি চলছিল বেশ আগে থেকেই।
.
অপারেশন সার্চলাইটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল একাত্তরের ফেব্রুয়ারি মাসে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক রবার্ট পেইনের “ম্যাসাকার” বইতে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এক সামরিক বৈঠকে ইয়াহিয়া খান বাঙালিদের খতম করার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সেনা বৈঠকে ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, ‘Kill three million of them, and the rest will eat out of our hands।’
.
এর ফলে পাকিস্তান বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
.
১৭ মার্চ চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা পরদিন ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। পাঁচ পৃষ্ঠার এই পরিকল্পনাটি রাও ফরমান আলী নিজ হাতে লেখেন।
.
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৪-২৫ মার্চ জেনারেল হামিদ, জেনারেল এ. ও মিঠঠি, কর্নেল সাদউল্লাহ হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রস্ত্ততি পরিদর্শন করেন। সিদ্ধান্ত হয়, ২৫ মার্চ রাত ১টায় অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় অভিযানে ঢাকায় নেতৃত্ব দেন জেনারেল রাও ফরমান আলী। এই জেনারেল রাও ফরমান আলী তার ডায়রিতে লিখেছিলেন, ‘paint the green of East Pakistan red’।
.
পরিকল্পনা মোতাবেক দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন জেনারেল খাদিম রাজা। লে. জেনারেল টিক্কা খান ৩১ ফিল্ড কমান্ডে উপস্থিত থেকে অপারেশনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ ছাড়া এ অভিযানকে সফল করার জন্য ইতোমধ্যে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের দু’জন ঘনিষ্ঠ অফিসার মেজর জেনারেল ইখতেখার জানজুয়া ও মেজর জেনারেল এ.ও মিঠঠিকে ঢাকায় আনা হয়।
.
অপারেশন সার্চলাইট অভিযান শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল ২৬ মার্চ রাত ১টা। কিন্তু ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে কোনো ইতিবাচক ফলাফল না পেয়ে সবাইকে সর্বাত্মক সংগ্রামের জন্য তৈরি হওয়ার আহবান জানান। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সে রাতেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিকামী বাঙালি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এরই ফলশ্রুতিতে দুটি সিদ্ধান্ত হয়- (এক.) অপারেশন বিগ বার্ড (দুই.) গণহত্যা অভিযানের সময় এগিয়ে আনা। অপারেশন বিগ বার্ড ছিলো বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার অভিযান। ঐ দিন রাত ১.৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.
সম্ভাব্য কোন এক আক্রমণের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুও আঁচ করতে পেরেছিলেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের আগের দিন, অর্থাৎ ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকদের সঙ্গে বৈঠকে কর্নেল ওসমানী বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘Do you think tomorrow that will be a crucial day?’ বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেন, ‘No, I think, it will be twenty fifth।’
.
১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত শ্বেতপত্রেও এ পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত আছে। সেখানে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ২৬ মার্চ ভোরে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান ও এ.এ.কে নিয়াজীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালেকের মতে, বাঙালি বিদ্রোহীদের প্রবল প্রতিরোধ সৃষ্টির আগেই পাকিস্তান বাহিনী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছার লক্ষ্যে অভিযান এগিয়ে ২৫ মার্চ রাত ১১-৩০ মিনিটে অভিযান শুরু করে। ঐ শ্বেতপত্রে ২৫ মার্চ সামরিক অভিযানকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।
.
২৫ মার্চ গণহত্যা শুরুর প্রাক্কালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান করাচির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু অভিযান প্রত্যক্ষ করার জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্
টাল হোটেলে থেকে যান। পরদিন ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে ভূট্রো সেনাবাহিনীর পূর্ব রাতের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মন্তব্য বলেছিলেন, ‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ যে পাকিস্তানকে রক্ষা করা গেছে।’ আজ তাই তাকে বলতে ইচ্ছে করে, ‘ভুট্টো সাহেব, পাকিস্তান সেদিন রক্ষা পায়নি, আজও নয়’। #Md_Alauddin_Vuian
.
২৫ মার্চ অভিযানের আগেই বিদেশি সাংবাদিকদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। দেশি সংবাদপত্রের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ সম্পর্কে তেমন বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লুকিয়ে থাকা তিন বিদেশি সাংবাদিক- - আর্নল্ড জেটলিন, মাইকেল লরেন্ট, সাইমন ড্রিং-এর লেখনী থেকে সে রাতের পরিকল্পিত ভয়াবহ, বর্বোরোচিত গণহত্যার অনেক তথ্যচিত্র পাওয়া যায়।
.
২৫ মার্চে গণহত্যার আর একটি বড় প্রমাণ সে সময়ে ঢাকায় কর্মরত মার্কিন দূতাবাসের কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড কর্তৃক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে লেখা টেলিগ্রামগুলো। আর্চার ব্লাড তাঁর লেখা অধিকাংশ টেলিগ্রামে সে সময়ে বাংলাদেশের গণহত্যাকে “নির্বাচিত” গণহত্যা বলেছেন যার সূত্রপাত ঘটেছিল ২৫ মার্চ সেই কাল রাত্রিতে।
.
দুটি বিশেষ কারণে ২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবী রাখে- এটি একটি পরিকল্পিত গণহত্যা ও স্বল্প সময়ে এ চেয়ে বেশী সংখ্যক গণহত্যার নজির নেই। ’৮১তে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12000 (twelve thousand) people were killed every single day. …This is the highest daily average in the history of genocides…’
.
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। ইতিহাসে সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে, সত্য চাপা রাখা যায়; কিন্তু সত্যকে বিলীন করা যায় না। সময়ের সাথে সাথে ইতিহাস সবাইকে তার যোগ্য প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে থাকে। বঙ্গবন্ধু, ম্যান্ডেলা, গান্ধিজী, আব্রাহাম লিঙ্কন –ইতিহাস এদেরকে যেমন মহিমান্বিত করেছে তেমনি রোমান সম্রাট ক্যালিগুলা, কম্বোডিয়ার পলপট, জার্মানির হিটলার, রাশিয়ার স্ট্যালিন, উগান্ডার ইদি আমিন, রোমানিয়ার চসেস্কু, চীনের মাও সেতুং, লিবিয়ার গাদ্দাফি, পাকিস্তানের ইয়াহিয়া, জুলফিকার আলী ভুট্টো … ইতিহাস এদের কাউকেই ক্ষমা করেনি।

Sunday, March 24, 2019

মোবাইল চুরি বা ছিনতাই হলে করনীয় ও আইনি প্রতিকার

মোবাইল

প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল ফোন ছিনতাই বা হারানোর খবর শোনা যায়। এই খবর গুলো এখন ডাল ভাতের মত। মোবাইল হারালে আমাদের সব থেকে বড় চিন্তা থাকে আবার একটা মোবাইল কিনতে হবে আর হারানোর খবর শুনলে পরিচিতরাও বলে "যেটা গেছে তা নিয়া ভেবে লাভ নাই। আর একটা কিনে নিও"কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না, যে মোবাইলটা হারিয়েছে সেটা আপনার জন্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে সীমাহীন বিপদ ও আইনি হয়রানি।কারন আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল আর তার সাথে যুক্ত সিম দিয়ে যে কেঊ কোন অপরাধ সংঘটিত করতে পারে আর পুলিশী তদন্তে আপনি হবেন সেই অপরাধের অপরাধী। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়াতে মোবাইল চুরি বা ছিনতাইয়ের সাথে সাথে নিচের ফর্মালিটি'স গুলো সেরে ফেলুন-
# সেক্ষেত্রে নিচের স্টেপ অনুসরণ করুনঃ
১) আইএমইআই নম্বর উল্লেখ পূর্বক থানায় জিডি করুন।মনে রাখবেন জিডিতে কোন প্রকার টাকা লাগে না। আবার দেখা যায় মোবাইল হারানোর মত ছোট খাটো জিডি করতে থানায় অনীহা দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মনে করিয়ে দিবেন জিডি করার ব্যাপারে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ ধারা অনুযায়ী আপনি অধিকার প্রাপ্ত।
২) জিডির এক কপি সহ র্যাব অভিযোগ করুন। অনেকেই জানেন না, র্যাব পুলিশেরই একটি বিশেষায়িত ইউনিট।
৩) জিডির কপিতে উল্লেখ করা অফিসারের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং তার মাধ্যমে ডিবি এর ট্র্যাকিং টিমের সহায়তা নিন।
৪) চুরি বা ছিনতাইয়ের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিম কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সিমটি বন্ধ করে দিন। এতে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টগুলোও নিরাপদ থাকবে।
# জিডি করবেন কেনঃ
১) আপনার মোবাইল ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে ওটা যাতে আপনার ঘাড়ে না পড়ে সেজন্যে। আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে, জিডির কপি দেখিয়ে সেটার দায় থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
২) হঠাৎ হঠাৎ জিডির দ্বারা ট্র্যাকিং করে মোবাইল পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
# এবার মেয়েদের জন্যে পরামর্শ,
সাধারনত মানুষ তার শখের মোবাইলে নানা ধরনের ব্যক্তিগত ছবি তুলে থাকে।আর মেয়েদের বেলায় মোবাইল ফোন হারালে বা ছিনতাই হলে সমস্যা এবং চিন্তা দ্বিগুণ থাকে কারন যেকোন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। যা তার এবং তার পরিবারের জন্য বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা বয়ে আনতে পারে।তাই ব্যক্তিগত ছবি মোবাইল ফোনে রাখা থেকে সতর্ক হোন। ফেসবুক, টুইটার, এই গুলোতে প্রতিবার লগ ইন এবং লগ আউট করে বের হউন।এছাড়াও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য কারো ফোন দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডিতে লগ ইন করে সেটিংস এ গিয়ে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি থেকে লগ আউট করে দিন এবং একটি স্টাটাস দিয়ে সবাইকে ফোন হারানোর খবরটা জানিয়ে দিন। এটা যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আইনি ঝামেলায় আপনার ডিফেন্স হিসেবে কাজ করবে।
মনে রাখবেন, সচেতনতাই শিক্ষিত স্বত্বার অলংকার তাই আইন জানুন সচেতন হঊন।